‘কামিং হোম’ হলো না, হলো ‘রিটার্নিং রোম’। তাও এক-দুই বছর পর নয়, ৫৩টি বছর পর। ১৯৬৮ সালে সর্বশেষ ইউরো জিতেছিল ইতালি। এরপর ২০০০ এবং ২০১২ সালেও ইউরোর ফাইনাল খেলেছিল আজ্জুরিরা। কিন্তু ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। এবার আর খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না কিয়েল্লিনিদের। টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ৫৩ বছর পর ইউরোর ট্রফিটা রোমে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আজ্জুরিরা।
খেলার নির্ধারিত সময় ছিল ১-১ ড্র। এরপর যোগ করা হয় আরো ৩০ মিনিট। সেখানেও গোল করতে ব্যর্থ হন দুই দলের ফুটবলাররা। যার ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেই হলো নিষ্পত্তি। ইংল্যান্ডের সমস্ত স্বপ্ন চূর্ণ হলো টাইব্রেকার নামক লটারিতে। যেখানে ইংলিশ ফুটবলাররা একের পর এক মিস করেছেন। অন্যদিকে ইতালিও মিস করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমার অসাধারণ নৈপূণ্যে জয় হলো ইতালির। ৫৩ বছর পর আবারও ইউরোর শিরোপা উঠলো ইতালিয়ানদের হাতে। টাইব্রেকারে ইতালির প্রথমটি গোল। শট নেন ডোমেনিকো বেরারদি। ১-০। ইংল্যান্ডের প্রথম শট নেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন, গোল। ১-১। ইতালির দ্বিতীয় শট নেন আন্দ্রে বেলোত্তি। ঠেকিয়ে দেন জর্ডান পিকফোর্ড। ১-১। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় শট, হ্যারি মাগুইরে। ১-২। ইতালির তৃতীয় শট নেন লিওনার্দো বনুচ্চি। গোল। ২-২। ইংল্যান্ডের তৃতীয় শট নেন মার্কাস রাশফোর্ড। কিন্তু বলটি তিনি মেরে দেন বাম পাশের পোস্টে। গোল হলো না। ২-২। ইতালির চতুর্থ শট নেন ফেডেরিকো বার্নার্ডেশি গোল। ৩-২। ইংল্যান্ডের চতুর্থ শট নেন জ্যাডন সানচো। ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষ ডোনারুমা। ৩-২। ইতালির পঞ্চম তথা শেষ নন জর্জিনহো। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড। ৩-২। ইংল্যান্ডের শেষ শট নেন বুকাইয়ো সাকা। তার শটও ঠেকিয়ে দেন ডোনারুমা। ৩-২ ব্যবধানে জিতে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ৩৫ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সিয়েসা। তার আক্রমণ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গোল বঞ্চিত হয় ইতালি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার খানিক আগে (৪৫+২) ভেরাত্তির আক্রমণ প্রতিহত করেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিকফোর্ড। ২ মিনিট পর আক্রমণে আসেন বনুচ্চি। সেটাও ব্যর্থ হয়। ৫১ ও ৫৩ মিনিটের মাথায় আবারও গোলের চেষ্টা। কিন্তু এবারও ইনসিগনেনের শট টার্গেটে ছিল না। ৫৬ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুইরে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ডি বক্সের মধ্যে; কিন্তু আপাতত রক্ষা মেলে ইতালির। ৫৭ মিনিটের মাথায় ইনসিগনে শট নেন ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে। আক্রমণ প্রহিত হয় পিকফোর্ডের দস্তানায়। ৬২ মিনিটের মাথায় ফের ইংল্যান্ডের পতন রোধ করেন পিকফোর্ড। সিয়েসার আক্রমণ প্রতিহত করেন তিনি। ৬৭ মিনিটে এসেই গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে গোলের দেখা যায় ইতালি।