করোনায় এক বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই সময়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়েছে অনেক শিক্ষক। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কাছে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর যেমন হিসাব নেই তেমনি শিক্ষকদেরও নেই।
করোনার কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী।তেমনই একজন মহসিন। রাজধানীর একটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়েন তার বাবা। বন্ধ হয়ে যায় তার পড়াশোনা। মহসিন এখন আজিমপুরের একটি বাজারে সবজি বিক্রি করে। স্কুল খুললেও ক্লাসে ফিরতে পারবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত।
শিক্ষকরা বলছেন, এই সময়ে ঝরে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী, বাল্যবিবাহও বেড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক শিক্ষক। পেশাও বদলেছেন অনেকে। এই ক্ষতি পোষানো কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
করোনার সময়ে কি পরিমাণ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তার সঠিক হিসাব নেই মন্ত্রণালয়ের কাছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন থেকেই শিক্ষার্থীদের তথ্য নিতে হবে। সেই সঙ্গে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষা খাতে কতটুকু ক্ষতি হয়েছে সেটি নিরুপণে কাজ চলছে। এরপর সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।এদিকে ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনা সংক্রমণ বাড়ায় তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।