চ্যাম্পিয়নশিপের রেস থেকে ছিটকে পড়া অবশ্যই কষ্টের। সেই হিসেবে এক বৃন্তের দুই দল কলম্বিয়া ও পেরু। তথাপি শেষটা ভালো করতে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি তারা। কোপার সব রং এখন মারাকানা ঘিরে। ব্রাসিলিয়ায় পরে থাকল পরাজিতদের আফসোস। শেষ ভালো যার সব ভালোও নাকি তার। কিন্তু এই ভালোর মাঝেও যে একরাশ হতাশা। তারপরও কষ্ট হাসি খোঁজার উপলক্ষ। ম্যাচের শুরু থেকেই সে চেষ্টা করেছেন জাপাতা লাপাডুলাররা। নিয়তি অপেক্ষায় রেখেছে। অবশেষে প্রথমার্ধের একেবারে অন্তিম ক্ষণে ইয়োতুন এগিয়ে নেন পেরুকে। বিশ্রাম শেষে ম্যাচ শুরু করে সমতায় ফিরতে খুব একটা দেরি হয়নি কলম্বিয়ার। ৪৭ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় তারা। সেখান থেকে যে গোলটি করেছেন কুয়ারদাদো, তা মনে রাখার মতো অবশ্যই। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে কলম্বিয়া। সমতায় ফিরে সেই খানে গতি আসে দ্বিগুণ। তারই ধারাবাহিকতায় ৬৬ মিনিটে লিডে আসে রেইনালদো রুয়েডা শিষ্যরা। চমৎকার ফিনিশিংয়ে স্কোর করেন লুইস দিয়াজ। এই ম্যাচটায় শিরোপা গন্ধ না থাকলে কি হবে? উত্তেজনার কোনো অভাব ছিল না। তারই প্রমাণ মেলে ৮২ মিনিটে পেরু স্কোর করলে। কর্নার থেকে পাওয়া বল নিখুঁতভাবে মাথা ছুঁইয়ে লাপাডুলা তা পাঠিয়ে দেন কলম্বিয়ার জালে। জমে উঠে ম্যাচ। স্থান নির্ধারণী ম্যাচটায় নাটকীয়তা ছিল শেষ পর্যন্ত। ভাগ্য এদিন স্বস্তির উপলক্ষ সাজিয়ে রেখেছিল কলম্বিয়ার জন্য। নির্ধারিত সময় পর করে ম্যাচ গিয়ে ঠেকেছিল ইনজুরি টাইমে। টাই ব্রেক করা প্রস্তুতিও হয়তো ততক্ষণে ভেবে নিয়েছিলেন দুই কোচ। তবে হঠাৎ দৃশ্যপট বদল। সেটা লুইস দিয়াজের অসাধারণ এক গোলে।