নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণির সুমাইয়া খাতুন (১১) ছাত্রীকে ধর্ষণের পড়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার (১৯ জুন) গভীর রাতে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সুমাইয়া ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।
গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের পালার নিচে সুমাইয়ার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে কাঁকনহাট পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্যা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের যৌনাঙ্গে রক্ত দেখা গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে রাতে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ খড়ের পালার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা হবে।