উরুগুয়ের সোনালী সুদিন ফিকে হয়েছে। কোপা আমেরিকার সবচেয়ে সফল দলটাই গেল এক দশক ধরে খেলেনি সেমির মঞ্চে। কাভানি সুয়ারেজরা এবার তৈরি করেছে সম্ভাবনা। মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কলম্বিয়া। সেটা টপকাতেই ম্যাচের একেবারে শুরু থেকে আগ্রাসী অস্কার তাবারেজের দল। ব্রাসিলিয়ায় মানে গারিঞ্চায় উরুগুয়ের গুড স্টার্টআপ হলেও দ্রুতই গুছিয়ে নেয় কলম্বিয়া। ম্যাচের প্রথম আক্রমণও রচনা করে রেইনালদো রুয়েডার দল। ২৬ মিনিটে ডি বক্সের লেফ্ট কর্নার থেকে পোস্টে শট নিয়েছিলেন ডুভান জাপাতা। ফার্নান্দো মুসলেরার গ্লাভসে বাধা পড়ার আগেই রেফারি অবশ্য বাজিয়ে দেন অফসাইডের বাঁশি।
লাতিন ফুটবলে আগের সৌন্দর্য নেই! এই ম্যাচটা যেনো তারই প্রতিচ্ছবি। ঘড়ির কাঁটায় পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে খেলা। কিন্তু গোল কিংবা চোখে পরার মত আক্রমন রচনা করতে পারেনি কোন পক্ষই। ৩০ মিনিটে উরুগুয়ের হয়ে গোলমুখ খোলার চেষ্টা করেছেন এডিনসন কাভানি। তবে সেটাও পরে অফসাইডের ফাঁদে। নিষ্প্রাণ ম্যাচে প্রথম স্কোরিংয়ের সুযোগ পায় কলম্বিয়া। ৪৫ মিনিটে জাপাতার বাড়ানো বল গোলির গায়ে লেগে ফিরে আসে লুইস মুরিয়েলের পায়ে। বিদ্যুৎ গতির শট নিলেও এই ফরোয়ার্ড সেটা রাখতে পারেননি অন টার্গেটে। যে হতাশা নিয়েই শেষ হয় প্রথম পর্বের খেলা। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে উরুগুয়ে। প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে ৪৯ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে লা সেলেস্তেরা। তবে নানদেসের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনা। পরের সময়টায় গোল করার চেষ্টা করেছে দু-পক্ষই। প্রতিপক্ষের রক্ষণে কদাচিৎ আক্রমণও হয়েছে দু-চারটি। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কেউই। ফলে কনমেবলের নিয়ম মেনে অতিরিক্ত সময়ের বদলে ম্যাচ গড়ায় সারাসরি টাইব্রেকারে। দিনটা যে উরুগুয়ের ছিলো না সেটা বুঝা গিয়েছিলো নির্ধারিত সময়েই। পেনাল্টি শ্যুট আউটেও সেখান থেকে বেরুতে পারেনি দিয়াগো গডিনরা। প্রথম চার স্পটকিকের সব ক’টিতেই স্কোর করে কলম্বিয়া। কিন্তু হোসে গিমিনেসের দ্বিতীয় আর ম্যাতিয়াস ভিনার চতুর্থ শট ঠেকিয়ে দলকে সেমি ফাইনালের টিকিট পাইয়ে দেন ডেভিড ওসপিনা।