নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরীক্ষা। কেউ চাই, কেউ চাই না। এমন অবস্থার মধ্যে চলছে শিক্ষার্থীরা। একদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আটকে যাওয়া পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন দাবি, অপরদিকে পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে মানববন্ধন করছেন মেডিকেল ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থায় সরকারের সিদ্ধান্তইকে মানার কথা বলছেন- শিক্ষাবীদরা।
শিক্ষাবীদরা বলছেন- করোনা ভাইরাসের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখান থেকে পরিত্রানের চেষ্টা করছে সরকার। সে লক্ষ্যে কাজ করছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে পরীক্ষা দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা জানান- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বেলা ১১টায় নগরীর জিরোপয়েন্ট ও রাজশাহী কলেজ গেটের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘করোনা মহামারির জন্য আমারা এক বছর পিছিয়ে পড়েছি। সম্প্রতি পরীক্ষা শুরু হয়েছে এবং কোনো কোনো কলেজে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছে, এর মধ্যেই সরকার আবার পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানিনা।’
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ঢাবি অধিভূক্ত সাত কলেজে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। তাদের দাবি যদি মেনে নেওয়া হয় তাহলে আমাদের দাবিও মানতে হবে। কারো দাবি মেনে নেওয়া হবে-কারো হবেনা এরকম বৈষম্যমূলক আচরণ চলবেনা।
সর্বশেষ এবারা পরীক্ষায় বসতে চান না মেডিকেল ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তারা ‘করোনায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নয়, পিছিয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয় পেছাতে হবে মেডিকেলও’ এমন স্লোগানে মানববন্ধন করেছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন- ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন থেকে জানানো হয়- ২ এপ্রিল শুক্রবার ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে মেডকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে বেশ কিছু জটিলনা সৃষ্টি হবে।
সেগুলো হলো- দেড় লাখ পরীক্ষার্থী এবং তিন লাখ অভিভাবকের জীবনঝুঁকি, প্রাইভেট মেডিকেল ভর্তি বিষয়ক জটিলতা, একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হলেও দেশের বাকি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সময়ের বৈষম্য, পরীক্ষা প্রাঙ্গণে কোন ভাবে করোনা আক্রান্ত রোগী পরীক্ষা দিতে গেলে মারাত্মক সংক্রামন ঝুঁকি, পরবতী ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণে বাধা।
মানববন্ধনে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার্থী এসময় উপস্থিত ছিলেন- আকাশ, মো. সাদমান, মেহেদি হাসান, মোছা. সুমাইয়া অংশগ্রহণ করেন।
রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান জানান- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি মাত্র পরীক্ষা হ্যাং (বন্ধ) হয়ে আছে। সেগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিলে ভালো হয়। এছাড়া মেডিকেল শিক্ষার্থী যে ভর্তিপরীক্ষা পেছানোর কথা বলছে-সেটা মোটেও যৌক্তিক নয়। কারণ মেডিকেল স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ভেতরে পরে, নিশ্চয় তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবস্থা নিয়েছে।