সাইমুম হাসান জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. ওয়ালিদ নামের এক তরুণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই ওয়ালিদই সম্প্রতি তাঁর চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়ে যান। এতে তিনি উত্তীর্ণ হন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩৪টি পদের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ১৩টি পদ অফিস সহায়কের। সাইমুম ওই পদেরই প্রার্থী। বিকেলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীসহ ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা সব প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছিলেন। তখনই সাইমুমের হাতের লেখায় গরমিল দেখা দেয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর হয়ে আরেকজনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ওই পরীক্ষার্থী নিজে যে খাতায় লিখেছেন, সেই খাতায় তিনি শূন্য পেয়েছেন। আর তাঁর হয়ে যিনি খাতা জমা দিয়ে গেছেন, তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিলেন না। এ ছাড়া তাঁরা লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখতেই জালিয়াতি ধরা পড়ে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জালিয়াতির জন্য ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১৮৮ ধারা মোতাবেক সাইমুমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাইমুমের হয়ে যিনি লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁকে ধরতে হলে মামলা করতে হবে। ওই প্রার্থীর ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।