নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ২১ জুলাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহী জেলার ১৭৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন দুই শতক জমিসহ স্বপ্নের ঘর। এছাড়াও ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা হতে যাচ্ছে রাজশাহীর তিনটি উপজেলা। আগামি ২১ জুলাই অনুষ্ঠানিকভাবে জেলার চারঘাট, বাঘা ও মোহনপুর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা ১২ টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃক তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার সরকারের লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করবেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চ্যূয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে তৃতীয় পর্যায়ের জমির দলিল ও নির্মাণকৃত গৃহসমূহের চাবি প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, রাজশাহী জেলায় এই উদ্বোধন কার্যক্রমের বিশেষত্ব হলো উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। সর্বশেষ হালনাগাদ নিরুপিত তালিকা অনুযায়ী রাজশাহী জেলার বাঘা, চারঘাট ও মোহনপুর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় হালনাগাদকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২১টি। ১ম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের মাধ্যমে ৬৯২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয় ঘরের চাবি। সেই সঙ্গে ২ শতক জমি বিনামূল্যে বন্দোবস্ত, কবুলিয়ত ও নামজারি সম্পাদন করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
একইভাবে ২য় পর্যায়ে পুনর্বাসিত করা হয় ৮৫৪টি পরিবার। ৩য় পর্যায়ে ১৩২৪টি ঘরের মধ্যে ১ম ধাপে ১.১৪৯টি ঘর প্রদান করা হয়। একইভাবে ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপে) ১৭৫টি ঘরের চাবি প্রদান করা হবে। আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে ‘ক’ তালিকাভুক্ত পুনর্বাসিত পরিবারের সংখ্যা ২ হাজার ৮৭০টি। অবশিষ্ট ১ হাজার ৪৫১টি পরিবারকে এ বছরের মধ্যেই পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে।
আগামী ২১ জুলাই ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপ) উদ্বোধনের জন্যে রাজশাহী জেলার উপজেলাওয়ারী ঘরের সংখ্যাগুলা হলো- পবা উপজেলায় ১০টি, মোহনপুর উপজেলায় ১০টি, তানোর উপজেলায় ১৭টি, গোদাগাড়ী উপজেলায় ১৮টি, পঠিয়া উপজেলায় ১৭টি, দূর্গাপুর উপজেলায় ২৫টি, চারঘাট উপজেলায় ৩৩টি, বাঘা উপজেলায় ৩০টি ও বাগমারা উপজেলায় ১৫টি। বিদুৎ, রাস্তা, স্যানেটারি, পানিসহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (এসএ শাখা) সানিয়া বিনতে আফজল প্রমুখ।