রাজশাহীতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সোমবার (৫ জুলাই) থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রি হলেও কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সাহেব বাজার, লক্ষ্মীপুর, রেলগেটসহ নগরীর আটটি পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রায় সবকটি পয়েন্টেই ক্রেতারা ভঙ্গ করেছেন সামাজিক বিধি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাইকিং করে সতর্ক করলেও তাকে নজর নেই ক্রেতাদের। সাধারণ দিনের মতো অনেকটায় গা ঘেঁষা-ঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য কিনছেন। দীর্ঘ লাইন থাকলেও ট্রাকের কাছে যারা এসেছেন তাদের মধ্যেই দেখা গেছে- ধাক্কাধাক্কির প্রতিযোগিতা। দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রতিবেদককে বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাইকিং করছি, হাজার বার বলার পরও কেউ কথা শুনছেন না। এখানে অনেকেই বৃদ্ধ ও মহিলা আছেন। তাদের ওপর চড়াও হলে তখন তারাই উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবেশক বলেন, লকডাউনে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের চাহিদা ৮ থেকে ১০ গুণ বেড়ে গেছে। প্রায় ১৫ দিনের বেশি বন্ধ ছিল টিসিবির পণ্য বিক্রয়। এর মধ্যে অনেক ক্রেতা আমাদের কাছে এসে এমনকি ফোন করে বলেছেন কবে চালু হবে টিসিবি। এদিকে রাজশাহী টিসিবির গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আটটি পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। একজন ডিলার দুই হাজার কেজি পণ্য পাবেন। এর মধ্যে চিনি ৬০০ কেজি, তেল এক হাজার কেজি ও মসুর ডাল থাকবে ৪০০ কেজি। তিনি বলেন, প্রতিটি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সবাই টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা ও ডাল ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা চার কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও চার লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। উল্লেখ্য, চলমান কঠোর লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ঈদুল আজহার ছুটি ছাড়া সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির এ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত।