অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সর্ম্পকে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়েই অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক প্ল্যাটফর্মগুলোতে অনলাইনে পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ওসমান ফারুক বলেন, আমরা আন্দোলন করে দুইবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছি, কিন্তু সরকারি বিধি নিষেধের কারণে পরীক্ষাগুলো মাঝপথে আটকে যায়। এতে অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে অনেকগুলো ব্যাচের পরীক্ষা। এর ফলে সেশনজট পোহাতে হচ্ছে আমাদের। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত যত দ্রুত সম্ভব অনলাইনে পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত করা। আশা করি প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজেস্টার রিকভারী গাইডলাইন প্রণয়ন ও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে দুইটি কমিটি করা হয়েছ। অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার কমিটির ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার জন্য কমিটি করে দিয়েছি। ওরা কাজ করছে। আমাদের পক্ষ হতে ইউজিসির সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে আমাদের সামর্থ্য ও লোকবল সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে আমাদের কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী ভাইভা, প্রেজেন্টেশনগুলো এখন অনলাইনেই নিচ্ছি। সব শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গেল বছরের ১৭ মার্চ হতে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এরমধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গেল বছরের ২০ ডিসেম্বর চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া শুরু করলেও চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তা স্থগিত করা হয়। এরপর গত মাসের ১৩ জুন হতে সশরীরে আবারও পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৫ জুন পুনরায় সব পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর হতেই শিক্ষার্থীদের অনেকেই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাতে থাকে।