ছাত্রী হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোবাসসিরা তাহসিন ইরার মরদেহ ময়না তদন্তের পর দাফন হয়েছে। তার সহপাঠীও পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন ইরা। প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে এ হতাশার সৃষ্টি বলে পুলিশ, পরিবার ও সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে। এদিকে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে আত্মহত্যার তথ্য পাওয়া গেছে।
গত শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাবি সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার এক ছাত্রী হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ইরার লাশ উদ্ধার করে মতিহার থানা পুলিশ। পরে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের পরিবার, সহপাঠী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইরার সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যের দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। ওই ছেলে নিজ থেকে সম্পর্কের ইতি টানতে চেয়েছিল। এতে হতাশা তৈরি হয় ইরার মাঝে। ঘটনার দিন রাত একটা পর্যন্ত মেসের বান্ধবীদের সঙ্গে সে আড্ডা দিয়েছিল। পরে নিজে কক্ষে ঢুকে আত্মহত্যা করে।
ইরার ভগ্নিপতি গণপূর্তের ইজাজ আহমেদ এ তথ্য স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, প্রেমে বিচ্ছেদ থেকে হতাশা তৈরি হয়েছিল ইরার ভেতরে। প্রেম ভেঙে যাওয়ার হতাশা থেকে সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হয়তো। জীবনটা অনেক বড় এটা তাকে বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু তার প্রেমিক সম্পর্ক গুটিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সে মানতে পারেনি। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে গেলে মানাটাও কঠিন। তবে আরও কিছু আছে কিনা ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে। ইরার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে রবিবার( ৩১ জানুয়ারি) মৃতের সুরতহাল দেখে আত্মহত্যা বলে ধারণা করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনেও তার উল্লেখ আছে।
মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হাসান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার তথ্য পাওয়া গেছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শিউলী খানম জানিয়েছেন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ইরার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেতে ১০/১২ দিন সময় লাগতে পারে।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন